রাশমিকা মান্দানা। ভারতীয় সিনেমায় বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত নাম। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে খ্যাতি পেয়েছেন। তবে এখন বলিউডে একাধিক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই অভিনেত্রী। রুপালি জগতে নাম লিখিয়ে খুব অল্প সময়েই নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন রাশমিকা। রূপ দিয়ে ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এ কারণে এই অভিনেত্রীকে ভক্তরা ডাকেন ‘এক্সপ্রেশন কুইন’ এমনকি ‘ভারতের জাতীয় ক্রাশ’ও বলা হয় রাশমিকাকে। ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরু টাইমসের জরিপে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারীর তালিকায় ২৪তম স্থানে ছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে পরের বছরই এই জরিপে শীর্ষে উঠে আসে তার নাম। গত বছর ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ভারতীয় অভিনয়শিল্পীর তালিকায় স্থান পান রাশমিকা।

এতে সামান্থা রুথ প্রভু, বিজয় দেবরকোন্ডা ও যশের মতো তারকাদের পেছনে ফেলেন তিনি। ভারতের কর্ণাটকের কোগাড়ু জেলায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাশমিকার। শুধু যে বাহ্যিক সৌন্দর্য রয়েছে তা কিন্তু নয়, ‘বিউটি উইথ ব্রেইন’ বলতে যা বোঝায় রাশমিকা সেটিই। মনোবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা ও ইংরেজি সাহিত্য অর্থাৎ তিনটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে এই অভিনেত্রীর। কলেজ জীবন থেকে মডেলিং শুরু করেন রাশমিকা মান্দানা। ২০১৪ সালে ‘ক্লিন অ্যান্ড কেয়ার টাইমস ফ্রেশ ফেস’ খেতাব জেতেন তিনি।

এতেই তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ২০১৬ সালে ‘কিরিক পার্টি’ সিনেমার মাধ্যমে চিত্রজগতে অভিষেক হয় তার। কন্নড় ভাষায় নির্মিত অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা এটি। এতে রাশমিকার অভিনয় দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়। সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ডসে (সিমা) সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও ঝুলিতে ভরেন তিনি। পরে ‘অঞ্জনি পুত্র’ ও ‘চমক’ সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। দ্বিতীয়টির জন্য ফিল্ম ফেয়ার মনোনয়নও জেতেন। ধীরে ধীরে দক্ষিণের অন্য ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ শুরু করেন রাশমিকা। ‘চালো’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে নাম লেখান তিনি। ২০১৮ সালে বিজয় দেবরকোন্ডার সঙ্গে তার ‘গীতা গোবিন্দম’ সিনেমাটি দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলে। পরবর্তী সময়ে ‘ডিয়ার কমরেড’, ‘সারিলেুরু নীকেবাড়ু’, ‘ভীষ্মা’, ‘সুলতান’, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমাগুলোর মাধ্যমে দক্ষিণী সিনেমার প্রথম সারির নায়িকাদের দলে যুক্ত হন রাশমিকা।